রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৯:৪৪ অপরাহ্ন
নিউজ ডেস্ক◾ স্কুল শিক্ষিকা সুপ্তা রাণী দাশ গতকাল স্কুলে যাওয়ার পথে সিএনজি চালিত অটোরিকশা থেকে লাফ দিয়ে পড়ে মারা গেছেন। ইজ্জত বাচাতেই লাফ দেওয়া- এই অভিযোগ পরিবারের।
জানাযায়, সুপ্তা রাণী দাশ বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি থেকে সিএনজিযোগে স্কুলে রওনা দেন। তিনি সিএনজিতে একা ছিলেন। স্কুলের রাস্তায় না নিয়ে সুপ্তাকে অন্য রাস্তায় প্রবেশ করে সিএনজি চালক।সুপ্তার শঙ্কা ছিল সিএনজি চালক কুমতলবে তাকে নিয়ে যাচ্ছেন। নিজেকে রক্ষা করতে চলন্ত সিএনজি থেকে সড়কে লাফ দেন তিনি।আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তার অবস্থা অবনতি হলে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সুপ্তা রাণী দাশ (৩০)।তিনি হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। তার এই মৃত্যু নিয়ে রহস্য সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে শায়েস্তাগঞ্জ-দেউন্দি সড়কের ফরিদপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তিনি নিশাপট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা ও হবিগঞ্জ সদর উপজেলার মাহমুদপুর গ্রামের পবিত্র দাশ এর মেয়ে।
এ ব্যাপারে নিশাপট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা জ্যোৎস্না আক্তার বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক হাসপাতালে চলে যাই। কিন্তু জ্ঞান না থাকায় সুপ্তা রাণী দাশ এর কাছ থেকে আসল ঘটনা জানা সম্ভব হয়নি।
হবিগঞ্জের সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ধারণা করা হচ্ছে ওই শিক্ষিকাকে একা পেয়ে সিএনজি চালক ভিন্ন রাস্তায় চলে যাওয়ার চেষ্টা করা হলে তিনি লাফ দিয়ে নিজের ইজ্জত বাঁচাতে গিয়ে আহত হন।পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
সুপ্তার মৃত্যুর রহস্য এখনো উদঘাটন হয়নি।ধারণা করা হচ্ছে ইজ্জত বাচাতে তিনি এ পথ বেঁচে নিয়েছেন।
© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৯ সিলেট দর্পণ ।